নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা। ভবিষ্যতে একটা সুন্দর ক্যারিয়ার দাঁড় করানো। উদ্দেশ্য যেটাই হোক না কেন গন্তব্য পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিক বা কলেজ লাইফের শুরু থেকেই। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সেই স্বপ্নের ধার খুলে যায় সবার সামনে।
সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগের। সেই স্বপ্নবাজ মুখ গুলোর পছন্দ তালিকার শীর্ষে থাকে, সবসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ। চান্স পেতে জানতে হবে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ (DU C Unit) ইউনিট বিষয়সমূহ ও আসন সংখ্যা
ঢাবি বিবিএ তে ৯ টি বিভাগের সর্বমোট ১০৫০ টি আসন রয়েছে। প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিটের একটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৩৭ থেকে ৪০ জন ভর্তিচ্ছু লড়াই করে থাকে।
- একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম – ১৫০ আসন।
- ম্যানেজমেন্ট – ১৫০ আসন।
- ফিন্যান্স – ১৫০ আসন।
- মার্কেটিং – ১৫০ আসন।
- ব্যাংকিং এ ইনস্যুরেন্স – ১০০ আসন।
- ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম -১০০ আসন।
- ট্যুরিজম হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট – ১০০ আসন।
- ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস – ১০০ আসন।
- অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি এন্ড লিডারশিপ – ৫০ আসন।
ঢাবি গ (DU C Unit) ইউনিট এ আবেদনের যোগ্যতা
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ ইউনিটে যে কোন বিভাগের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
- আবেদনকারী কে অবশ্যই ২০২৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য ব্যবসায় শিক্ষা/ এ লেভেল/ বিজনেস ম্যানেজমেন্টে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের
- মাধ্যমিক/ সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক/ সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত জিপিএ দুটির যোগফল কমপক্ষে ৭.৫ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০) হতে হবে।
- ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য ব্যবসায় শিক্ষা/ এ লেভেল/ বিজনেস ম্যানেজমেন্টে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হিসাববিজ্ঞান বিষয়টি অবশ্যই থাকতে হবে। উক্ত বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট ন্যূনতম ৩.০ হতে হবে।
বিজ্ঞান শাখার জন্য
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য বিজ্ঞান শাখায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের
- মাধ্যমিক/ সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক/ সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত জিপিএ দুটির যোগফল কমপক্ষে ৮.০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫) হতে হবে।
- উচ্চমাধ্যমিকে ২০০ নম্বরের গণিত অথবা পরিসংখ্যান (আবশ্যিক/ঐচ্ছিক) বিষয়টি অবশ্যই থাকতে হবে এবং উক্ত বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট ন্যূনতম ৩.০ হতে হবে।
মানবিক শাখার জন্য
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য মানবিক শাখায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের
- মাধ্যমিক/ সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক/ সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত জিপিএ দুটির যোগফল কমপক্ষে ৭.০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫) হতে হবে।
- উচ্চমাধ্যমিকে ২০০ নম্বরের অর্থনীতি অথবা পরিসংখ্যান (আবশ্যিক/ঐচ্ছিক) বিষয়টি অবশ্যই থাকতে হবে এবং উক্ত বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট ন্যূনতম ৩.০ হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গ (DU C Unit) ইউনিট মানবন্টন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৮ টি বিভাগ। ভর্তি পরিক্ষার জন্য দুই ভাবে ভর্তি পরীক্ষা হয়। বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পদ্ধতি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়।
ব্যবসা শিক্ষা শাখা/কমার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য
এমসিকিউ
- বাংলা – ১২
- ইংরেজি – ১২
- হিসাববিজ্ঞান -১২
- ব্যবস্থাপনা – ১২
- মার্কেটিং/ফিনান্স – ১২
লিখিত
- বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ – ৪
- ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ – ৪
- ভূল সংশোধন (বাংলা) – ৪
- ভূল সংশোধন (ইংরেজি) – ৪
- হিসাববিজ্ঞান -৮
- ব্যবস্থাপনা – ৮
- মার্কেটিং/ফিনান্স – ৮
মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য
এমসিকিউ
- বাংলা (আবশ্যিক)- ১২
- ইংরেজি (আবশ্যিক) – ১২
- আইসিটি (আবশ্যিক) – ১২
- গণিত, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি (যেকোনো ১ টি) – ২৪
লিখিত
- বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ – ৫
- ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ – ৫
- ভূল সংশোধন (বাংলা) – ৫
- ভূল সংশোধন (ইংরেজি) – ৫
- আইসিটি (আবশ্যিক) – ১০
- গণিত, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি (যেকোনো ১ টি) – ১০
A Level / Equivalent
A Level শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয় এবং নম্বর বণ্টন
MCQ Section
- English (Compulsory): 16 marks
- Advance English (Compulsory): 12 marks
- Business Subjects (Any Two)
- Business Studies: 16 marks
- Accounting: 16 marks
- Economics: 16 marks
- Mathematics: 16 marks
Written Section
- Essay Writing: 5 marks
- Error Correction: 5 marks
- Business Subjects (Any Two)
- Business Studies: 10 marks
- Accounting: 16 marks
- Economics: 10 marks
- Mathematics: 10 marks
বহুনির্বাচনি (MCQ) অংশে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর। লিখিত অংশের জন্য কোনো নেগেটিভ মার্কিং থাকবে না।
ঢাকা গ (DU C Unit) ইউনিট প্রশ্ন প্যাটার্ন/ধরন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ, প্রতিবছর ১০৫০ টি আসনের বিপরীতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৮ থেকে ৪১ জন শিক্ষার্থী লড়াই করে।
তারমানে বুঝতেই পারছো এতো শিক্ষার্থীর সাথে লড়াই করে, মেধাতালিকায় নিজের নামটি দেখার জন্য কি পরিমান পরিশ্রম করতে হবে? তবে শুধুমাত্র পরিশ্রম করলেই হবে না। পরিশ্রমের সাথে প্রয়োজন সঠিক কৌশল। সেইসাথে প্রয়োজন টাইম ম্যানেজমেন্ট। যদি ভর্তি পরিক্ষার ১ ঘন্টা তুমি নিজেকে পরিপূর্ণ ইউটিলাইজ করতে না পারো, তাহলে তোমার ঢাবিতে পড়ার স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে যাবে। আর ভালোভাবে প্রিপারেশন নেওয়া জন্য প্রয়োজন প্রশ্নের প্যাটার্ন বা ধরন সম্পর্কে জানা।
ইংরেজি
এখানে মূলত গ্রামার পার্ট থেকেই বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে। বেশিরভাগ প্রশ্ন হয়ে থাকে Vocabulary, Group Verb, Phrase and Idioms, Appropriate Preposition, Narration, Tense, Right Form of Verbs। প্রতিবছর গ্রামার থেকে ৮ থেকে ১২ প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে Narration,Right Form of Verbs, article, tag questions, sentence ও parts of speech এর থেকে প্রশ্ন থাকেই। গ্রামারের কিছু এক্সসেপশন নিয়ম আছে। সেগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা ভালো। যেহেতু এই বিষয়গুলো বেশি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই এখান থেকে প্রশ্ন ও বেশি আসে।
বাংলা
বাংলার জন্য মূল বইটা আয়ত্তে আনা খুব বেশি জরুরী। ঢাবি গ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্র থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। গদ্য ও পদ্মের মূলভাব, উৎস, তথ্য, উক্তি, ছন্দ, কবি ও লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ, কবিতায় কোন শব্দ কতবার ব্যবহৃত হয়েছে, বিভিন্ন চরিত্রাবলি থেকে প্রশ্ন আসে। কোন উক্তিটি কার এসব প্রশ্ন অনেক সময় এসে থাকে। সাথে সাথে দেখা যায় অনেক সময়, ব্যাকরণ অংশের অনেক কিছুই গদ্য ও পদ্য থেকে চলে আসছে। বাগধারা,সন্ধি, বাচ্য,এক কথায় প্রকাশ ইত্যাদি।
ব্যাকরণ অংশে ভালো করার জন্য নবম ও দশম শ্রেণির ব্যাকরণ দ্বিতীয় পত্র বোর্ড বইটা অনেকে ইফেক্টিভ। ব্যাকরণের যুক্ত ব্যঞ্জন বিশ্লেষণ, ধ্বনি প্রকরণ, পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ, শব্দ সম্ভার, সংখ্যা বাচক শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, পদাশ্রিত নিদর্শক, বচন, সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়, উপসর্গ, পদ পরিবর্তন, পদ প্রকরণ, ক্রিয়ার কাল ও ভাব, বাক্য রূপান্তর, বাক্য প্রকরণ, বাচ্য, যতি ছেদ ও বিরাম চিহ্ন, শুদ্ধিকরণ থেকে প্রশ্ন এসে থাকে।
ম্যানেজমেন্ট
সাম্প্রতিক দেশীয় বা বৈদেশিক ব্যবসায় প্রবাহ থেকে প্রশ্ন আসে। এছাড়াও বেশিরভাগ প্রশ্ন আছে উচ্চমাধ্যমিক ব্যবস্থাপনা বই থেকে।
অ্যাকাউন্টিং
অংক বিষয়ে ৪ থেকে ৫ প্রশ্ন আসে। অংক সম্পর্কিত আরো ২ থেকে ৪ প্রশ্ন হয়। আর বাকিগুলো হয় ব্যবহারিক অংশ থেকে। তাই অবশ্যই একাউন্টিং এর তত্ত্বীয় বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ঢাবি গ (DU C Unit) ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকা
পরীক্ষা এবং GPA এর সম্মিলিত নম্বরের উপর মেধাতালিকা তৈরি করা হয়। তবে এমসিকিউ অংশের ইংরেজিতে ন্যূনতম ৫, মোট ২৪ এবং লিখিত পরিক্ষায় নূন্যতম ১১ মার্ক পেতে হবে। এমসিকিউ অংশে উত্তীর্ণ হলেই কেবল লিখিত অংশ মূল্যায়ন করা হবে।
ঢাবি গ (DU C Unit) ইউনিট প্রস্তুতি যেভাবে নেবে
বই পড়ো, কনসেপ্ট ক্লিয়ার রাখো
ভালো প্রস্তুতির জন্য পাঠ্যবই এর বিকল্প কিছুই হতে পারে না। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় খারাপ করার পিছনে কারণ থাকে পাঠ্যবইকে গুরুত্ব না দেওয়া। উচ্চ মাধ্যমিকের শুরু থেকেই বইয়ের খুঁটিনাটি এবং মূল বিষয়বস্তু বুঝে প্রস্তুতি নিলে সেটা বেশি ফলপ্রসূ হয়। অবশ্যই বেসিক এবং কনসেপ্ট ক্লিয়ার রাখা অপরিহার্য।
প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করো
প্রশ্ন অ্যানালাইসিস বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঢাবি গ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, হুবহু প্রশ্ন না আসলেও, একই প্যাটার্ন এর প্রশ্ন আসে। তাই প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করা খুব বেশি জরুরী। এতে করে প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ টপিক ও চিহ্নিত করা যায়। এর ফলে প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।
নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করো
নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করা এবং তা ইমপ্রুভ করা খুবই জরুরি। এর ফলে কনফিডেন্স বাড়ে। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির সময় নিজের দুর্বলতা কে চিহ্নিত করতে হবে। যে বিষয়ে তুমি দুর্বল, সে বিষয়ে বেশি সময় দিতে হবে। প্রচুর অনুশীলন করতে হবে।
ঘড়ি ধরে পরিক্ষা দেয়ার অনুশীলন
অনেকেই দেখা যায় পরীক্ষার সময় টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়। তাই প্রস্তুতির শুরু থেকেই ঘড়ি ধরে অনুশীলন করতে হবে। তাহলে টাইম ম্যানেজমেন্ট ইম্পুভ হবে।
নার্ভাস হওয়া যাবে না
পরীক্ষার সময় অনেকেরই নার্ভাসনেস কাজ করে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু অতিরিক্ত নার্ভাস হয়ে ভুল করাটা অস্বাভাবিক। এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। অনেকেই ভর্তি পরীক্ষা কে দেড় ঘন্টার একটি খেলা বা যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করেন। কথাটি অনেকাংশেই সত্যি। মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে হবে। যেহেতু অনেক প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা, সামান্য একটু ভুল ও তোমাকে নিয়ে যেতে পারে স্বপ্ন থেকে বহুদূর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা অনুষদে সারাদেশের আনাচে কানাচ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। সবারই কিন্তু স্বপ্ন নিজেকে ঢাবিয়ান হিসেবে গড়ে তোলা। তাই পরীক্ষা সম্পর্কে ভালোভাবে জানো। পরিপূর্ণ ধারণা নাও। নিজের প্রস্তুতিকে করো গোছানো।
প্রতিদিন কতক্ষণ পড়তে হবে? কিভাবে পড়তে হবে?
ঢাবি গ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় কতক্ষণ পড়তে হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তোমার নিজের উপর। তোমার নিজের ধারণ ক্ষমতার উপর। যতক্ষণই পড়ো না কেন, মনোযোগ সহকারে পড়ো। যখন পড়তে ইচ্ছে করছে না বা পড়ার প্রেশার হয়। তখন একটু বিরতি নাও। তারপর আবার পড়া শুরু করো। পরীক্ষার খুঁটিনাটি জানো।
নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যাও। রাত জেগে না পড়ে, ভোরবেলা উঠে পড়ো। কারণ রাত জেগে পড়তে গেলে মাথায় সারাদিনের চিন্তা ভীর করে। কিন্তু ভোরবেলা মাথায় একদম ফ্রেশ থাকে এবং পড়া সহজে মনে থাকে। প্রতিদিনই কিছু কিছু Preposition এবং Vocabulary করে ফেল।
এত ভোকাবুলারি মনে রাখব কিভাবে?
ভোকাবুলারি মনে রাখা অনেক কঠিন। আবার অনেকের কাছে অনেক সহজ। মনে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল নেমোনিক। নেমোনিক হচ্ছে একটা সহজ জিনিস দিয়ে অন্য আরেকটা জিনিস মনে রাখা। ভোকাবুলারি পড়ার পর অন্য কোন কিছুর সাথে ডিলেট করতে পারলে ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
কোন বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোড় দিতে হবে?
সব বিষয়ে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যেহেতু ইংরেজিতে আলাদাভাবে পাশ করতে হয়। তাই ইংরেজিকে একটু বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বলে রাখা ভালো পরীক্ষার হলে ইংরেজি বিষয়টা সবার শেষে উত্তর করা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ কোনভাবে যদি সময় শেষ হয়ে যায় ইংরেজি উত্তর না করা হয়। তাহলে এমনিতেই ফেল আসবে।
উচ্চমাধ্যমিকে মার্কেটিং পড়লে কি ফিন্যান্সের উত্তর করা যাবে? এতে করে কি ভবিষ্যতে বিষয় নির্বাচন প্রভাবিত হবে?
হ্যাঁ করতে পারবে। নিজের ইচ্ছায় যেকোন একটা উত্তর করলেই হবে।
নেগেটিভ মার্কিং হয়। ১২০ নাম্বারি কি উত্তর করে আসা বুদ্ধিমানের মত কাজ হবে?
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি জানতে হবে। হ্যাঁ নেগেটিভ মার্কিং হয়। প্রতিটা ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ করে কাটা হয়। মোট মার্কের উপর থেকে। এখন তুমি যদি অনুমানের ভিত্তিতে ৫ উত্তর করো। Hopefully এত প্রিপারেশনের পর ৫ টা থেকে অন্তত দুইটা সঠিক হবে। তারমানে তুমি পেয়ে যাচ্ছ ২ নম্বর এবং পরীক্ষার নেগেটিভ মার্কিন এর জন্য কাটা যাচ্ছে ০.৭৫ মানে তুমি এক্সট্রা পেয়ে যাচ্ছ ১.২৫ নম্বর। তুমি তবে অনুমানের ভিত্তিতে বেশি প্রশ্ন উত্তর করা ঠিক না।
মেরিটে আসার জন্য কি বা ভাল বিষয়ে পড়ার জন্য নূন্যতম কত নম্বর লাগবে?
প্রথম কথা হল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সবগুলোই গোল্ডেন সাবজেক্ট। ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি জানা প্রয়োজন। অন্যতম নাম্বারটা নির্ভর করে প্রশ্নের উপর। আশা রাখা যায় ৫৫ মার্কের উপর হলে তুমি একটা আসন পেতে পারো।
কোন বিষয়ের জন্য কোন বই ভালো হবে?
প্রথমত সব বিষয়ের জন্যই উচ্চমাধ্যমিকের বইটা খুব ভালো করে পড়ে ফেলতে হবে শুধুমাত্র বাংলা ২য় পত্র বাদ কারণ বাংলা ব্যকারণের প্রশ্ন বেশিরভাগই হয় মাধ্যমিকের বই থেকে। ভর্তি পরীক্ষায় অনেক ধরনের সাম্প্রতিক তথ্য আসতে পারে। অতিরিক্ত তথ্য আসতে পারে যার জন্য বাজারে অনেক ধরনের বই পাওয়া যায়। এর মাঝে বাংলার জন্য সরোবর, হিসাববিজ্ঞানের জন্য RABS, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স এবং মার্কেটিং এর জন্য যথাক্রমে, Fundamental of Businesss, Fundamental of Finance এবং Fundamental of Marketing ভালো হবে।
ইংরেজির জন্য Adroit এবং এর পাশাপাশি একটা পকেট ভোকাবুলারি গাইড রাখা যেতে পারে। যেকোনো জায়গায় যখন তখন পড়ার জন্য। সব গাইডের পেছনেই বিগত বছরের প্রশ্ন দেয়া থাকে। ওগুলো সমাধান করে ফেলতে হবে আর পেছনে প্রশ্ন না পেলে পরীক্ষার, আগে একমাস হাতে রেখে একটা Question Bank কিনে সমাধান করে ফেলতে হবে।
তো, পরীক্ষার্থীদের করা প্রশ্নের মাঝ থেকে এই কয়েকটা ছিল সবচেয়ে কমন যার কারণে উত্তরগুলো দিয়ে দিলাম। এরপরও যদি কোনো বিষয় নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দের সৃষ্টি হয় তবে কমেন্ট সেকশন তো রয়েছেই। ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি রয়েছে।
সবশেষে, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখো। নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাও। ঢাবি গ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার খুঁটিনাটি জানো। তথা তোমার স্বপ্নজয়ের যুদ্ধে অবশ্যই তুমি সফল হবে।